সংবাদ শিরোনামঃ
রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কি ঘটতে যাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
 সুন্দরবনের দ্বার খুলবে আশায় বুক বেঁধে জাল নৌকা ও ট্রলার মেরামতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন উপকূলের জেলেরা

 সুন্দরবনের দ্বার খুলবে আশায় বুক বেঁধে জাল নৌকা ও ট্রলার মেরামতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন উপকূলের জেলেরা

বুড়িগোয়ালিনী শ্যামনগর প্রতিনিধি।
জাল নৌকা ও পর্যটক বাহী ট্রলার মেরামতের শেষ সময় পার করছেন জেলে বাওয়ালী গণ।
জুন, জুলাই, আগস্ট এই তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ছিল। এসময় জেলেরা যেমন সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারে নাই, তেমনি পর্যটক বাহী ট্রলার পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে দিন কেটেছে এসব জেলে বাওয়ালীদের।
 আগামী সেপ্টেম্বরের এক তারিখে সুন্দরবনের দ্বার খুলে দিবেন বনবিভাগ। সেই আশায় বুক বেঁধেছে জেলারা,সময় শেয হলে বৈধ পাস নিয়ে সুন্দরবনে যাবেন মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করতে, এদিকে সুন্দরবনে পর্যটক বাহী ট্রলার মেরামত করছে ট্রলার মালিক গণ। তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এতিন মাসে ট্রলার
 নোনা পানির নোনা পোকা যে ভাবে খেয়ে ফেলেছে আমারা আমাদের ট্রলার মেরামত করতে সমিতি থেকে ঋণের টাকা উঠায়ে ট্রলার মেরামত করতে হলো এমন অভিযোগ করেন বুড়িগোয়ালিনী ট্রলার মালিক নূর ইসলাম।
তিনি আরো বলেন এ তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা না দিলে আমাদের আজ সমিতির ঋণের বোঝা মাথায় চাপতো না, পাস ছাড়ার পর যে টাকা আয় করবো সমিতির ঋণের টাকা শোধ করতে করতে নিজেদের ছেলে মেয়েদের খেতে দিতে পারবো না।
 ট্রলার মালিক শফিকুল ইসলামের কাছে ট্রলার বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল বলেন তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ করতে না দেওয়ায় সুদের টাকা নিয়ে সংসার চালাতে হয়েছে, সেপ্টেম্বর ১ তারিখ হতে পাস ছাড়বে এবিষয়ে প্রতিবেদককে শফিকুল বলেন আপনারা জানেন নোনা এলাকায় কাঠের তৈরি ট্রলার বডিতে নোনা লেগে এই কাঠ সব খেয়ে ফেলে, পরবর্তীতে মেরামত করতে যেয়ে আমাদের সমিতি অথবা সুদের টাকা নিয়ে মেরামত করতে হয়। পাস ছাড়লে পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনের ভাড়া টেনে এই ঋণের টাকা শোধ করতে হবে।
সুন্দরবনে মাছ , কাঁকড়া আহরণ করা বন্ধ ছিল তিন মাস এই তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় জেলে বাওয়ালীদের সমিতির টাকা ঋণ করে সংসার চালাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দাতিন খালি এলাকার মাছ আহরণকারি জেলে জাহাঙ্গীর সানা।
বুড়িগোয়ালিনী এলাকার কামাল গাজি বলেন তিন মাসে আমি প্রায় ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে সংসার চালায়েছি পাস ছাড়লে কামায় করে ঋণ শোধ করবো আশা আছে।
 জেলেরা আরো অভিযোগ করে বলেন সুন্দরবনের অভায়রণ্যো এলাকার ১০০ ভাগের ৫২ ভাগ বন্ধ খোলা আছে মাত্র ৩৮ ভাগ আমাদের দাবি  ৬০ ভাগ উন্মুক্ত করেতে হবে, কারণ সুন্দরবনের যেটুকু জায়গা অপমুক্ত রয়েছে সে জায়গায় আমারা দুই থেকে তিন হাজার জেলে এই অল্প জায়গায় মাছ কাঁকড়া আহরণ করে আসিতেছি এই সল্প জায়গাতে আমরা সেভাবে মাছ, কাঁকড়া পাইনা ,চালান উঠানো দায় হয়ে যায় আমাদের।
 এবিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী এলাকার ফজলু গাজির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সুন্দরবনের মেঘনা খাল হতে ডেঙ্গিমারি খাল, লক্ষিখালী খাল, হরিখালী খাল সহ দ্বিতীয় পাটে যে স্থান গুলো বন্ধ করে দিয়েছে সরকার সুন্দরবনের সে স্থান ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাই।
তিনি আরো বলেন সাগর এলাকায় ৬৫দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের
সুন্দরবন এলাকায় ৯০দিন বন্ধ থাকায় জীবিকার আহরণে হিম হিম খেতে হয় এই উপকূলের জেলেদের। এমন কি এলাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজের জন্য চলে যেতে তে হয়। উপকূলের জেলেদের দাবী আগামী তে সুন্দরবনের অভায়রণ্য এলাকার ৬০%ও তিন মাস পাস বন্ধ না করার আহ্বান জানান।
জেলেরা আরো অভিযোগ করেন সুন্দরবনের অসাধু যে জেলেরা বিষ দিয়ে মাছ শিকার এবং  ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে থাকেন সেগুলোর সম্পন্ন অভায়রণ্যো এলাকায় করে থাকেন।
 কারণ হচ্ছে ওই সমস্ত এলাকা ফাঁকা থাকে জেলেদের আনাগোনা না থাকায় বিশ দিয়ে মাছ ধরতে এবং ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করতে অসাধুচক্রের সুবিধা হয়ে থাকে,সে কারণে আমরা দাবি করব অভয়ারণ্য এলাকার ৬০% ছেড়ে দিয়ে এই উপকূলের মানুষের জীবন জীবিকা করার সুযোগ করে দিন। যাহাতে অসাধুচক্র বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করতে না পারে সুন্দরবনের এসব এলাকায়।
এবিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ছিল তিন মাসের জন্য সে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। বনবিভাগ থেকে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের এক তারিখ হতে পাস দেওয়া হবে, পাস নিয়ে জেলে বাওয়ালী ও পর্যটক ট্রলার পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনের প্রবেশ করতে পারবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড